ভালবাসি (দুঃস্বপ্ন)


আমি তুমি সে-
জীবনটা কত রঙ্গীন যে।
হা হা হা হা—–
একটু লজ্জা পেলাম মনে হয়।


এক গ্লাস পানি মুখে ঢেলে দিয়ে
কোমল সুখের স্বপ্নটা ভাসিয়ে দিল মা।

আমি আমার প্রিয়াকে খুঁজে পাইনি
পৃথিবীতে।
স্বপ্নের মাঝে তাকে পেয়ে শিখরিত ছিলাম আমি।
আনন্দের শিহরণ আমার-
শরীরের প্রতিটি দানায় ছড়িয়ে পড়েছিল
কত সুন্দর- কত রঙ্গীন ছিল সেই স্বপ্ন।

তিতাসের পাড়ে ঘাসে শুয়ে আছি ভাবনা শূন্য হয়ে
সত্যি সত্যি তাকে না পাওয়ার বেদনাকে বুকে জড়িয়ে।

মাথার পিছন থেকে ভেসে এল একটা মেয়ে কন্ঠ-
“এই যে শুনছেন? ঐ পাড়ে যাওয়ার নৌকা কোথায় পাব, একটু বলবেন?”
ঘুরে দাড়াঁতেই-
আমি রীতিমত অবাক।
এ তো সেই মেয়ে-
যাকে নিয়ে সারা রাত আমি স্বপ্নে বিভোর ছিলাম!
কিন্তু-
স্বপ্নে তো সে একান্ত আমার ছিল
তিতাসের বাঁকা স্রোতের মত
ঠোঁট বাকিয়ে- কাদোঁ কাঁদো কন্ঠে বলেছিল-
” প্রতিজ্ঞা কর; আর হারাবেনা।”

আমি ঠায় দাঁড়িয়ে তার দিকে তাকিয়ে থাকি
তাকিয়ে তাকিয়ে তার চোখে আমার-
কষ্টের প্রতিটা অধ্যায় পড়ার চেষ্টা করি।

তার দিকে চেয়ে থেকে হঠাৎ একটা কথা বলতে ইচ্ছে হয়-
” মনে মন লাগিয়ে ঘষা দিলে ভালবাসা হয়।
দেহ এর সাথে দেহ ঘষা খেলে-
জাগে অনুভূতি; জাগে নতুন প্রাণ।

আর যদি মনের সাথে প্রাণের সংঘর্ষ হয়-
আগুন ধরে যায় জীবনের বনভূমিতে।”

এই কথা বলতে ইচ্ছে করছিল
তার পাশে দাড়িঁয়ে থাকা দূর্ত শেয়েলটাকে দেখে।
কেমন করে এই রকম খোলা জায়গাতেও-
বলিষ্ট বাহুতে বন্দী করে রেখেছে আমার দুধ সাদা প্রিয়াকে।

কী সুন্দরতম ঘৃণ্য দৃশ্য।

আমার কষ্টগুলু কেউ কি দেখেনা!
কেউ কি বুঝেও না কিছু!

বাতাসের সাথে-
তিতাসের জলের ঢেউ এর ডগায় করে
আমার কষ্টগুলু আবার-
আমারই বুকে আছড়ে পড়ে।
চাপ খায় বেঁচে থাকার ইচ্ছাতে।

লাউ ফুল

নাকে তোমার বৃষ্টির জলকণা
শিশিরের মতই লাগছে।
মনে হচ্ছে যেন তুমি
আস্ত এক ফুটন্ত লাউ ফুল।

ভাল লাগে তোমায়
ভালবাসি বলব না।
তারপরও কেন যেন তোমাকে
জড়িয়ে ধরে; তোমার নাকে জমেথাকা
জলকণায় চুমো দিতে ইচ্ছে করছে।

টুলপড়া গালে তোমার কৃষ্ণচূড়ার রেণু
নাকে বৃষ্টির জলকণা
দেখতে লাগছে ফুটন্ত লাউ ফুল-
কেমন যেন তোমার আশ্চর্য সৌন্দর্যে
আমি আবিষ্ট হয়ে গেলাম।

নাহ-
তোমার জন্য ভাল লাগা নয়
তোমাকে ভালবাসি।

এখন তো আর কিছুই জানিনা বালিকা
শুধু জানি-
তোমাকে ভালবাসি
তোমাকে ভালবাসি
তোমাকে ভালবাসি

বালিকা, ঐ দেখ আকাশের মেঘটা
কত সুন্দর রঙ্গিন!
তাই না?

ট্রান্সপারেন্ট কষ্ট


একটা ট্রান্সপারেন্ট কষ্ট
আমাকে ঝাপটে ধরে জীবনী শক্তি চুসে নিছে।
এ আমার কি হল? বুঝতে পারছিনা।
সপ্ন দেখার ব্যাপার চুকে ফেলেছি অনেক আগে
এখন আর সপ্ন দেখিনা।
ঐ ট্রান্সপারেন্ট কষ্টের বেড়াজালে
আমার চোখগুলু সপ্ন দেখতে ভুলে গেছে,
সত্যি বলছি ভুলেগেছে।

আমি জানি নিত্য নতূন ভুল আর-
কল্পনা বিলাস আমাকে অসম্ভব অসফল বাস্তবিক করেছে।

বাস্তবিক করেছে সত্যি কিন্তু-
বাস্তবিক হওয়া সত্তেও অস্থির আমি
ঐ ট্রান্সপারেন্ট কষ্টের তাড়নায়।

আমি এখন আপছা কুয়াশার মত
রোদ্দুর উঠার পর হারিয়ে যাবার অপেক্ষায়।

এক পলক


নবী দে তো এক কাপ কফি
মনটা আজ ভাল নেই।

গাড়ী মনে হয় আজও করবে দেরী-
এক পলক দেখা যাবে তাকে; খেতে খেতে কফি।

নাহ- মনটা ভাল নেই,
সে থাকেনি আশে পাশে।

ডাইনেষ্টিতে বসে-
আর কত যাবে অপেক্ষায় তার!
সে তো থাকেনা আশে পাশে।

নবী দে তো আরও এক কাপ কফি
কফিতে চুমুক আর ভাবি-
হায়রে মনের ভালবাসা
তোর পূর্ণতা পেতে আর হবে কত দেরী?

কালপুরুষ

আকাশের লুব্ধকে-
বসিয়েছ পাহারা,
উত্তর-পশ্চিমে
তোমরা তিন ঘনিষ্ট তারা।

কমড়ে শিকল
কালপুরুষের
উদ্দত মহান সেই মিছিলের দৃশ্য-
দেখবে নাকি?
তাকাও-
শীতের পূব আকাশে।

সাথে পাবে ঐ তারাদের
বসে আছে মাথায়
কালপুরুষের।

ডাকবে তাদের
মৃগরাশি বলে
সরা দিতে পারে
বাণরাজা আর আর্দ্রা
কার্তিকেয় আসতে পারে
অনিরুদ্ধ ও ঊষা
থকবে না কিন্তু বসে।

হারিয়ে যাওয়া তুমি


হাওয়ার নির্মলতা; আমার অসহ্য লাগে,
লাগে একগেয়েমিতে দম বদ্ধ হয়ে যাওয়ার যন্ত্রনা।

নতুন করে,
তুমি হারিয়ে যাওয়াটা ভীষণ অনুভব করছি
সেই জন্য বোধ-হয়-
আমার যন্ত্রনাটা ক্ষনে ক্ষনে চক্র বৃদ্ধি হারে বাড়ছে।
আর তা-
ষোল কলা পূর্ণ করে,
আমার মগজের ভিতর ইস্কুলের ঘন্টা বাজাচ্ছে প্রতিনিয়ত।

আজ মৃত্যুকে অনেক বেশি চাই
ঠিক মন থেকে।
যেমনটা চাইতাম তোমাকে।

তুমি আপন হওনি; নিরাশ করেছ
মৃত্যু নিশ্চয় আমাকে নিরাশ করবেনা
আপন করে জড়িয়ে ধরবে পরম মমতায়।

আমি-
চির নিদ্রায় যাব
ঘুমাব পরম শান্তিতে।

মায়া

ইলেক্টিক্যালে ডিপ্লোমা পাস করে ফেনা এখন বেকার। একেবারে বেকার বলা যায় না। ব্রাহ্মানবাড়িয়া সরকারী কলেজে বাংলায় অনার্স করছে। তার পরও তার অলসতার অফুরন্ত সময়। সারা রাত জেগে থাকা আর দুপুর বারটা একটা পর্যন্ত ঘুমানো, এক প্রকার রুটিন হয়ে গেছে। প্রায় বিকেলে আড্ডা হয় পাইক পাড়া আরাফাত ষ্টোর আর নাভানা শো রোমে। তেমনি এক বিকালে সিগারেট হাতে বেশ আড্ডা জমে উঠে। জমে উঠা আড্ডার মাঝ পথে যোগদেন এলাকার বড় ভাই মাহবুব। ফেনার হাত থেকে সিগারেটটা টান দিয়ে নিয়ে বলেন- কি আজাইরা গুরন আর হাওন। কাম কাইজ করতা না? ফেনা মাহবুব ভাই এর দিকে পলকহীন ভাবে তাকিয়ে থাকে। যেন অসহায় দিনহীন এক ছেলে। আচমকা বলে উঠে করুম কাম দেন। মাহবুব ভাই একটু সিরিয়াস হয়ে- সত্যি করবা? একটা মাস্টারির চাকরি আছে। হইলে লাইগগা যাও। ফেনাও সিরিয়াস হয়ে বলল কোন স্কুল, কি বিষয় পড়াতে হবে। হুমায়ুন কবীর পৌর প্রথমিক বিদ্যালয় এ, আর কি পড়াইতে অইব তা কইতে পারি না। তয় তুমি কইলে আমি কথা কইতে পারি। সিগারেটে সুখ টান দিতে দিতে বলল মাহবুব ভাই।
তিন দিন পর মাহবুব ভাই ফেনাকে ফোন দিলেন, বললেন
ছোট ভাই তুমি তারাতারি তোমার কাগজ গুলান স্কুলে জমা দেও। এখন আর কতা কইতে পরতাম না, দোয়া দরখাস্ত বলে ফোনটা রেখে দিলেন।
উনিশে মে, বৃহস্পতিবার। একটা মিনি ইন্টারভিও দিয়ে বাইশে মে হিসাব রক্ষক ও শরীরিক শিক্ষক হিসাবে নিয়োগ পেল। ফেনার সকালের আরামের ঘুম হারাম হয়ে গেল। দুই হাজার টাকার চাকুরির জন্য সকাল সারে সাতটা থেকে দুপুর বারটা পর্যন্ত গাধার খাটনি। সাথে যোগ হ্ল সাত জন মহিলা শিক্ষিকার অসহনিয় সঙ্গ। যা হোক ফেনা তার কাজ ঠিক মত পালন করার শতভাগ চেষ্টায় ব্যস্ত। নতুন করে ভাবতে লাগল সে যা জানে তা ছাত্র-ছাত্রীদের মাঝে শতভাগ উজার করে দিবে।
স্কুলের নিয়ম কানুন তেমন না থাকায় কিছু নিয়ম জারী করা হ্ল, আর যা ছিল তার প্রয়োগে আরও কঠোরতা আনল । স্কুলের ছাত্র-ছাত্রীদের নিয়ম কানুন মেনে চলার জন্য চাপ সৃষ্টি করায় আভিবাবকরাও অনেক খুশি। দেখতে দেখতে এক সপ্তাহ কেটে গেল। স্কুলের চেহারাও অনেক বদলেছে । মজার এবং অদ্ভুত বিষয় হ্ল এমন কোন দিন নাই যে ছাত্র-ছাত্রীরা ফেনার হাতে মার না খায়। বেদম পিটানোটা ফেনার একটা স্টাইল। পিটানো বলাটা ভুল হবে, কঠিন শাসন বলায় ভাল। কেউ যদি নিয়ম না মানে, বেয়াদবি করে, পড়া শিখেনি তবে ঐ ছাত্র বা ছাত্রীর কপালে দুঃখ লেখা হয়ে যায়। কোন শিক্ষিকার অনুপস্থিতিতে যদি ক্লাস নিতে যায় তবে আজ সেরেছে। উত্তম-মধ্যম তো চলেই সাথে যারা পড়া শিখেনি তাদের ছুটির পড় বাড়ি যাওয়া বন্ধ। পড়া শিখে দিয়ে তার পর যেতে হবে। আন্য শিক্ষকের ক্ষেত্রে হ্লেও উপায় নেই। আটকে রেখে পড়া আদায় করে তবে ছুটি। ফলে দেখা গেল কয়েক দিনের মধ্যে ছাত্র-ছাত্রীদের পড়াশুনার মাত্রাও বেড়ে গেছে। একটা বিশেষ মজার ব্যাপার হ্ল ফেনা যখন মারত তখন গল্প বলে বলে মারত। তেমনি একটা গল্প হ্লঃ একটা ছোট বাচ্চা ছেলে একদিন পড়া না শিখে স্কুলে গেল। স্যার ঐ দিনই তাকে পড়া ধরলেন। সে পড়া পাড়েনি। ফলে স্যার বেত দিয়ে আচ্ছা মত পাছায় মারলেন। সেই ছাত্র কোন দিন তার নিজের পাছা দেখেনি। সে দিন বাসায় এসে মনে মনে বলতে লাগল- হারামজাদার স্যার কি মারাই না মারছে। আয়নার সামনে গিয়ে প্যান্ট খুলে পাছাটা দেখল। দেখেতো অবাক। একি কান্ড। মানুষ মারে তাই বলে কি এই ভাবে মারে!! মারতে মারতে একেবারে পাছাটা দুইটুকরা করে ফেলছে!

ফেনা যেমন বাচ্চাদের শাসন করে তেমনি অনেক আদরও করে। ফলে অল্প দিনের মাঝে সবাই তার ভক্ত হয়ে গেল। মাঝে মাঝে যখন ওরা ফেনাকে তাদের সাথে টিফিন খেতে বলে তখন ফেনার মনটা গলে একেবারে পানি হয়ে যায়। ভাবে এত শাসন করার পরও তারা কত ভালবাসে। একটা অদ্ভুত মায়ার জালে ফেনা আটকে যায়।

একদিন এক জন অভিবাবক স্কুলের নিয়ম নিয়ে ফেনা তথা সব শিক্ষক-শিক্ষিকার সাথে খারাপ ব্যাবহার করে। ফেনার খুব মন খারাপ হয়। ফেনা ঠিক করে সে আর এই চাকুরী করবেনা। সাথে আশুগঞ্জ পাওয়ার স্টেশনে ইন্টারভিও দিয়েছে। চাকুরী হওয়ার সম্ভাবনাও একটা আছে।
ঐ দিন তৃতীয় শ্রেনীতে সাধারণ জ্ঞানের ক্লাস ফেনাকে দেওয়া হ্ল। মুটামুটি সবাই পড়া শিখলেও হাতে গুনা কয়েক জন শিখেনি। আর যায় কোথায়। উত্তম- মধ্যম চলল। তাদের মাঝে দুইটা মেয়ে ছিল। মারার সময় ফেনা বলল- তোমরা যদি এভাবে পড়া না শিখে আস তবে আমি আর তোমাদের ক্লাস নিব না। আমি চাকুরী ছেরে দিয়ে চলে যাব, তোমাদের স্কুলেই আর থাকব না। ক্লাস শেষ, ঘন্টা পড়ল। ফেনা বারান্দায় এসে দাড়াঁল। স্কুল ছুটি। সব ছাত্র-ছাত্রী লাফা লাফি করে বের হচ্ছে। হঠাৎ ফেনা দেখল যে কয়েক জনকে একটু আগে বেদম শাসন করতে মেরে এসেছে তারা বারান্দার কোণায় দাড়িঁয়ে। কি ব্যাপার তোমরা এখনে কেন? বাসায় যাও। ফেনা বলল। তখনও মাথা নিচু করে ঠায় দাড়িঁয়ে। কি হ্ল কথা বলনা কেন, বলতে বলতে তাদের দিকে এগিয়ে যায় ফেনা। তখন মাথা তুলে ফেনার দিকে চেয়ে বলে স্যার আপনার সাথে একটু কথা বলব। কি কথা, বলে ফেনা ওদের মাথায় হাত রাখে। মনটা খুব খারাপ, কন্ঠ ভারী হয়ে গেছে ওদের। ভিজা কন্ঠে ফেনার দিকে চেয়ে বলে - " স্যার আপনি যায়েন না।"

ভালবাসি ( খুঁজে পেলাম )

শীতের এক সকালে-
শিশিরের কোমলতা আর
সূর্যের প্রথম আলোয়
মনটা চনমন করে উঠে।

বাইরে বের হয়ে দেখি-
শুভ্র শাড়ি পড়ে কোমল চেহারার এক মেয়ে
খালি পায়ে-
ঘাসের ডগায় জমে থাকা
হিরার মত টুকরো শিশিরের জলের উপর
অনেক সাবধানে হাটছে।
চুলে গুজে রেখেছে একটা লাউ ফুল
দুধ সাদা হাতে তার কলমি ফুল।

মনটা আমার শিহরিত হয়ে কুয়াশার মত দোল খায়।
একটু একটু করে সামনে এগিয়ে যায়
মনে হতে থাকে; সে আমার হাজার বছরের চেনা।

তাহলে কি সে-ই আমার......

সামনে এগিয়ে নিঃশব্দে দাড়িয়ে থাকি।
খুব দ্রুত চোখের পলক ফেলতে ফেলতে
আমাকে বলে-
আপনি........
আমি তোমাকে চিনি।
কিন্তু -
ঠিক মনে করতে পারছিনা।
বলতো তোমার সাথে আমার কোথায় দেখা হয়েছিল?

আমার ঠোঁটের কোনায় খুঁজে পাওয়ার আনন্দ।
তাকে বলি-
আমাকে ছুঁয়ে দেখ
তোমার সব মনে পড়বে।

তার দুধ সাদা একটা হাত আমার দিকে এগিয়ে আসতে থাকে
আমাকে স্পর্শ করে
প্রচন্ড অস্থিরতায় কাঁপতে থাকে সে
কাপা কাপা গলায় বলতে থাকে-
এত দিন কোথায় ছিলা!

আর সোজা হয়ে দাড়িয়ে থাকতে পারেনি
জড়িয়ে ধরে- কাঁদো কাঁদো গলায় বলতে থাকে
প্রতিজ্ঞা কর; আর হারাবেনা তুমি।।

ভালবাসি ( খুঁজছি )

পৃথিবীতে আসার আগে
অন্যন সুন্দর এক মূহূর্তে-
সাক্ষাত হয়েছিল;
আমার প্রিয়তমার সাথে।

অনেক ভালবাসা জরানো কন্ঠে বলেছিলাম-
আমার মমতা আর ভালবাসা
সাথে আমার শ্রেষ্ঠ সুখ; রেখ কিন্তু বুকে আগলে,
তোমার বুকের উষ্ণতার মাঝে।

ভূল করে হলেও দিওনা যেন কাউকে
এমনকি-
কেউ হাতও যেন না দেয় তাতে।

পৃথিবীতে আসলাম আজ অনেক দিন হল।
আমি রীতিমত যুবক হয়ে প্রিয়তমাকে খুঁজছি।
কিন্তু-
কি অদ্ভুত! কোথাও নেই সে।
চাপা অস্থিরতায়-
এই মেয়ে ওই মেয়ের দিকে চেয়ে থাকি।

একটা কষ্ট; হারিয়ে ফেলার বেদনা-
শুধু আহবান করে আমায়
তার সাগরে ঝাপ দিতে।
আমার সাহস হয়না।

ভালবাসাটা আমার আমিতে ছড়িয়ে থাকায়
একটা বিশ্বাস বাসা বেধে বড় হতে থাকে-
আমার বিশ্বাস; নিশ্চয় তাকে খুঁজে পাব আমি একদিন।

উৎসর্গকৃত জীবন ( কষ্ট )

আমার আমিকে উৎসর্গ করেছিলাম তোমায়
ভেবেছিলাম তুমি খুব খুশি হবে-
বলবে-
"আমি খুশি। আর কিছু চাইনা।
তুমি সুস্থ থাক ভাল থাক। এবং মনে রেখ....
আমি তোমাকে ভালবাসি।"

কিন্তু কই-
তোমার রাগ আর অভিমান বেড়ে গেছে অনেক
বেড়েছে আমার প্রতি তোমার ঘৃণা-
তোমার অযোগ্য বলে দূরে ঠেলেছ
লেবু চিপার মত তেতু করে।

কিসে আমার অযোগ্যতা??? যন্ত্রনা পোষা বেকার জীবন???

বিশ্বাস কর সাবাহ্-
আমি তোমাকে খুব বেশি ভালবেসেছিলাম বলেই
তোমার প্রতিটা মূহূর্তকে আমার স্পর্শের বাইরে রাখতে চাইনি।
চেয়েছি.... চেয়েছি.....
তুমি হবে আমার প্রতিটা শ্বাসের প্রাণ
হবে তুমি আমার জীবনের শওকত শান
তোমার স্পর্শ হবে আমার হৃদয়ের দারকান।

আমার থেকে তোমার মুখ ফিরিয়ে নেওয়াটা
আমি মানতে পারছিনা।
আমার কাছে মনে হয়-
একটা প্রলয়ঙ্কারী ঘুর্নী ঝড় আমার সব কিছু শেষ করে দিয়েছে।

আমি এখন নিঃস্ব। একা।

মাথাটা ভীষণ ঝিম ঝিম করে
বুকের ভিতর কি যেন একটা মোচড়ে উঠে-
কষ্ট অনুভব হয়।

উৎসর্গকৃত জীবন

আমি-
নীশিতে নিঃস্বার্থ ভাবে ভালবাসতে পারি তোমাকে।
প্রশ্ন করতে পার-
দিনে নয় কেন?
দিনের অপরাধ?

আমি ঠিক তোমাকে বুঝাতে পারবনা।।

আসলে তুমি কল্পনাও করতে পারবেনা-
দিনে আমি কতটা অসহায় থাকি!!
কত গুলো কষ্ট আর যন্ত্রনাকে আমি
সেবা দিয়ে থাকি!!
অনেকটা ডে-কেয়ার সেন্টারের মত।

আর পর্দার পেছন থেকে ক্যামেরা ধরে থাকে কিছু-
ভীবৎস অসহায়ত্বে বেড়ে উঠা
তরতাজা সাদাকাল বেকার জীবন।
তাদের সাথে একাত্মা প্রকাশ করে জ্বলন্ত বেনসন।
দিনের জমানো কষ্টগুলোকে
অল্প অল্প করে পুরে-
সময়ের শেষে তৈরী করে ছাঁই।
আর-
নিকোটিন যুক্ত ধোঁয়াকে পাঠানো হয় ভ্রাম্যমান আদালত করে,
অন্তর পরিদর্শনে।
সারাটা দিন ব্যাস্ত থাকি-
ঐ আদালতের প্রয়োগকৃত শাস্তি ভোগ করতে।

বুঝতে পারছ সাবাহ্??
আমি আসলেই দিনে সময় পাইনা।
তাই-
রাতের সময়টা তোমাকে উৎসর্গ করলাম।