ফোন রস


"নাই টেলিফোন নাইরে পিওন; নাইরে টেলিগ্রাম, বন্ধুর কাছে মনের খবর কেমনে পৌঁছায়তাম?"


- ভাই সেই দিন আর নাই। এখন বলেন----

ফোন নম্বর এখন বেশি বেশি
কোন নেটওয়ার্ক লাগবে শুনি?

পিওন যে লাগবেনা আর
আছি বেশ ভাল ই-মেইল সেবার।

বন্ধু তুমি শুধু রেখ মনে
ই-মেইল আর ফোন দিব প্রতিক্ষনে।

দিশাহারা জীবনের নাবিক


আমার আমিতে মাঝে মাঝে,

খুঁজে পায়--
অজানা কিছু জীবনের প্রতিচ্ছবি।

কিছু হারানো মুখের-
দিলছেড়াঁ মায়ার টান।

একেই কি বলে, জীবনের মানে?
জানি না আমি।

হঠাৎ করেই-
হৃদয়ের গহীনের ঝড় আকুতি করে-
তাকে যেন ঠাঁয় দেয় আমার স্থির বন্দরে। 

কিভাবে বুঝায় -
আমার আমিতে মাঝে মাঝে,
খুঁজে পায়--
অজানা কিছু জীবনের প্রতিচ্ছবি।

আমিতো নিজেই
অস্থির ঝড়ে ছিন্ন হওয়া খড়।
কিছু হারানো মুখের-
দিলছেড়াঁ মায়ার টানে
দিশাহারা জীবনের নাবিক।

ক্ষোভের দাবানল

ঝঙ্কার উঠেছে আজ;
নাচছে খঞ্জন অবিরাম।
সাবধান থেক তব তুমি-
যে ভাব নিজেকে রাজার নীতিতে আসীন।

সাক্ষী আসমান জমিন
সাক্ষী হল বুকের চাপা ক্ষোভ।
ছারখার করে দিব ক্ষোভের আগুনে,
যে বানাবে বাংলার মানুষকে ভোগ।

রাজার বেশে শয়তানের পাল
জনতা আজ ধরছে দেশের হাল।
ভাল করে তাকিয়ে দেখ
খঞ্জনের অবিরাম নাচ।
কি করে পালাবি-
দেখেনে তোদের মৃত্যুর সাঁজ।

অভিমানী, শান্তির পিপাসায় তৃষ্ণার্ত জনতার আজ
জেগে উঠেছে মনুষ্যত্তের দাবানল।
ঝঙ্কার উঠেছে আজ;
নাচছে খঞ্জন অবিরাম
রুদ্ধ হল আজ-
তোদের বাচাঁর সব দার।

আমি বন্দী

উচ্চ আদালত সরকারের কাছে জানতে চেয়েছে
আমি বন্দী নয় কেন!

আমি যতবারই বলেছি-
বিশ্বাস করেনি তারা।
তারা বলেছে-
আমি রিষ্ট পুষ্ট নিরাপদ আবাস্থল পেয়েছি।

কিন্তু আমার যে দম বদ্ধ হয়ে আসে
ইটের পোড়া বটকা গন্ধে।
ঘুম থেকে উঠে পাইনা প্রকৃতির নির্মল হাওয়া
সবুজের স্নিগদ্ধতায় ভরে উঠেনা আমার চোখ জোড়া
আড়ষ্টতা ভাঙ্গার জায়গা পাইনা।

এক কাপ কফি হাতে যখন
ঐ জানালাটার পাশে এসে দাড়ায়
নিজেকে তখন জেলখানার পুরানো কয়েদীই মনে হয়।

তত্তাব্দায়ক সরকারের সময়
দুই নেত্রীকে নেওয়া হয়েছিল জেলখনায়,
তারা তো আমার থেকে ভালছিল-
থাকা-খাওয়া-যোগাযোগ সবই ছিল।

তবে কি আমি-
প্রতিনিয়ত একটা জেলখানায় বাস করছিনা!

তাহলে- সরকার কেন বলবে-
আমি বন্দী নয়।
আমি রিষ্ট পুষ্ট নিরাপদ আবাস্থল পেয়েছি।

খাক! সে আবান্থল-
ঐ সব পিপড়ের দল
আমি দাঁড়াবনা লাইনে
হাটব শুধুই ডাইনে।

স্বাধীনতা আজ অন্ধকারে

আচ্ছা এখানে এত অন্ধকার কেন?
আমি বাংলাদেশের স্বাধীনতা তো তাই।
বুঝলাম না ভাই!
এত দিন তো জানতাম-
স্বাধীনতা হল সূর্যদীপ্ত আলো,
স্বাধীনতা হল অন্ধকার দূর করার যাদু,
স্বাধীনতা হল ভালবাসার এক মধু চাক।
তবে ভাই এইখানে কেন এত কাল?
বুঝলেন না-
এ তো খুব সোজা।
এই দেশের নেতা আছে যত
আমায় নিয়ে তারা ব্যবসায় করে তত
আমাকে তারা তাদের ইচ্ছে মতন
ব্যবহার করে ফেলে রাখছে অযতন।
আমাকে নাকি আবার বলে-
স্বাধীনতা!!

হায়রে মানুষ, হায়রে নেতা
আমার নাম দিয়েছে স্বাধীনতা!
আমাকে নিয়ে, আমার ইতিহাস নিয়ে
তোমাদের এ কোন খেলায় মত্তা?
আমি বুঝি না।
আমি নিজেই মাঝে মাঝে পড়ে যায় সন্দিহীনতার মাঝে,
আমার নাম কি আসলেই স্বাধীনতা?

আচ্ছা ভাই তুমি তো মানুষ-
এই দেশেরই মানুষ, তুমি কি বল?
আমি কি আর বলব তোমায়
মানুষ তো আর মানুষ নাই
মানুষ এখন সার্থ দেখে
নেতা সেজে সব হরণ করে।
আমি তো এক দর্শক মাত্র,
আমার কথা বলা নিষেধ আছে।

কালপুরুষ

আকাশের লুব্ধকে-
বসিয়েছ পাহারা,
উত্তর-পশ্চিমে
তোমরা তিন ঘনিষ্ট তারা।

কমড়ে শিকল
কালপুরুষের
উদ্দত মহান সেই মিছিলের দৃশ্য-
দেখবে নাকি?
তাকাও-
শীতের পূব আকাশে।

সাথে পাবে ঐ তারাদের
বসে আছে মাথায়
কালপুরুষের।

ডাকবে তাদের
মৃগরাশি বলে
সরা দিতে পারে
বাণরাজা আর আর্দ্রা
কার্তিকেয় আসতে পারে
অনিরুদ্ধ ও ঊষা
থকবে না কিন্তু বসে।

অভিমানী অভিযোগ


অভিমানী অভিযোগ

স্রষ্টার কাছে আজ আমার
ভিষণ অভিমানী অভিযোগ।
নারীদের প্রতি কেন তোমার সব চোখ??
ঢেলে কেন দিলে তুমি তাকে -
দুনিয়ার সব রুপ!!

জেগে উঠে ফুলে যায়
ব্যাথায় করে টন টন,
তোমার প্রতি-
ভিষণ অভিমানী আমার ক্ষোভ।

বুঝি-
ফুলে ফেপে বাড়িয়ে দিচ্ছে তোমার ওব
হিংসায় জেগে উঠা আমার ক্ষোভ।

দুঃখস্মৃতি

দিন এসে চলে যায় দিন
আমি রয়ে যায় প্রতিদিনই তোমার।
ভালবাস আমার কাঁদে প্রতিক্ষণ-
তোমাকে মনে পড়ে যখন।

দিনের সূর্য নতুন করে উঠে প্রতিদিন
আমার ভালবাসা তোমার জন্য উজ্জল চিরদিন।

আবার-
তোমাকে ভালবেসে হাসি প্রতিক্ষণ-
কখনো সখনো কাঁদি আবার
তোমাকে পাবনা ভাবি যখন।

দিন এসে দিন চলে যায়;
সূর্য তাপে রেখে যায় কিছু দুঃখস্মৃতি
এই বুক চিরে দেখ-
তোমার জন্য আমার মনে রয়েছে এক সুখের বসতি।

আমায় ক্ষমা কর

ভর দুপুরে রাস্তায় দাড়িঁয়ে উদাস ফকির
উপরে তাকিয়েছে বার কয়েক
অশ্রু সিক্ত আখিঁ।

হবে হয়তো-
জমা হিসাবের; হিসাব দিচ্ছিল
হিসাব- জমেছিল বুঝি শ’খানেক?

মাঝে মাঝে ভাবি-
আমি আমারই কথা-
কি অভলীলায় খুলি অপরের অপরাধের খাতা।

কিন্তু নিজে আমি অতি অধম
হিসাব হাজারো-
হয়েছি জখম।

কি হিসাব দিব তাকে!!
অপরাধের ভারে-
তুলতে পারিনা মাথা তার দিকে।

ক্ষমা কর প্রভু আল্লাহ
আমায় ক্ষমা কর তুমি।

বেকার জীবন

গতিময় জীবন আজ আমার-
বেকারত্বের ভালবাসায় স্থবির।

কোন রকমে যাচ্ছে কেটে জীবনটা আমার;
তিতাসের মত করে
অনেক সুন্দরের বেঁচে থেকেও মৃত জীবন।

আর তাই-
্বীভৎস সুন্দর আর চমৎকার অসহায়ত্ত্ব
আমাকে উৎসাহিত করছে--
জীবনকে গভীর ভাবে গৃণা করতে।
গৃণা করতে আমার ভাল কর্মগুলুকে
যেগুলু শুধু জীবনের কাধে ভারী হয়ে আছে
স্মৃতি আর ফেলে রাখা নর্দমার ময়লার মত।

হায়রে আমার জীবন
হায়রে বেকার জীবন!!!!

জীবনের মানে

জীবনের মানে পেট ভরে খেয়ে নিশ্চিন্তে ঘুম যাওয়া
জীবনের মানে ঘুম থেকে ঊঠে একরাশ হাই তোলা
জীবনের মানে হাই তোলতে তোলাতে তোমার অপূর্ব রুপে ভরা মুখটা দেখা
জীবনের মানে তোমার আমার অমর প্রেমার কথা
জীবনের মানে দুঃখ কষ্ট ভরা; তুমি আমার ভালবাসা
জীবনের মানে তোমার সাথে আমার দাম্পত্যের কলহ
জীবনের মানে এত কলহের মাঝেও তোমাকে জড়িয়ে ধরে চুমু খাওয়া
জীবনের মানে ভালবাসাময় এই আমার বুকে তোমার মাথা রাখা
জীবনের মানে তোমার হাতে হাত রেখে শুধু চক্কর খাওয়া
জীবনের মানে আমার সামনে দিয়ে তিতাসের ধুকে ধুকে বয়ে চলা
জীবনের মানে বাড়ীর পাশ দিয়ে ঊদ্দাম মেঘনার পথ চলা
জীবনের মানে একটু সুখের আসায় জেগে জেগে স্বপ্ন দেখা
জীবনের মানে অনেক অপেক্ষার পর একটু আশার আলো দেখা
জীবনের মানে তুমি শুধু আমার, তুমি শুধু আমার
এই বলে তোমাকে জড়িয়ে ধরা।

ললাট বিহীন সমাজ

সাধ আর চায় না ছায়া
বলব এক দেশের কথা,
সমাজ যেখানে টানে প্রতিদিন-
যাচ্ছি মোরা অন্ধকার কুপগহীন।

নারীর কথা আর কইব কি ছা-তা
হচ্ছে তারা; তাদের জন্য লাঞ্ছিতা।
সমাজ যেখানে টানে প্রতিদিন-
নারীরা হচ্ছে কাপড়ে সৌখিন।

চায় যে তারা ছোট খাট জামা
গরম তো আর সয়-না।
সমাজ এখানে টানে প্রতিদিন-
তারা পড়ে যেন নেট আর পলিথিন।

বলতে গেলে ভাল কথা-
সমাজ তো বলে প্রতিদিন
আমি এক ললাট বিহীন।

কষ্টে যে কইব কথা
মুখে দেয় কিল গুতা,
সমাজ যেখানে টানে প্রতিদিন-
আমার মুখেতে কুলুপ গুজিতে
সর্বজন থাকেন বিরামহীন।

স্মৃতি

সেই রাতের-
হারানো স্মৃতি
ইশারায় হয় যে কথা
ভালবাসার কঠিন ঘরে
আমি শুধু একা।

হারানো স্মৃতি
শুধু হারায় আমি-
সেই রাতের
হারানো স্মৃতি।

তোমার কি স্মরণে আসে কভু--
তোমার তুমিতে আমি???

ভাবি শুধু একা, সব-
আমারই ভুলগুলো।
পাব কি কখনো মাফ
যদি হারায় সব ভুলের দৃশ্যগুলি।

যেতে চেয়েছি আমি নিকুঞ্জ পথে
আশা এক; পাব সব ভালবাসার আদলে।

কিন্তু-
থমকে থমকে দাঁড়ায়,
ভেসে আসে বারবার-
সেই ইশারার দৃশ্যটায়।

বাকি সব যেন-
হারানো স্মৃতির এক মলিন পৃষ্ঠা।

ভালবাসি শব্দটা ভয় পায়

ভালবাসি শব্দটা তুমি-
অনেক সহজেই বলতে পার,
আমি পারি না।

কেন জান?

তুমি তোমার সারা জীবনের কষ্টগুলোকে-
নিংড়ে রেখেছ;
না হয়-
তোমার কোন কষ্ট নেই।

আর --
আমার প্রতিটা মূহূর্তেই তৈরী হয়
নতুন নতুন কষ্ট।
সেগুলু আবার নিংড়ানো নয়।
আমার সারাটা দেহ-মন জুড়ে ছড়ানো;
ছড়ানো আমার প্রতিটা রক্ত-কনিকায়।
তাই-
বলতে পারিনা তোমাকে ভালবাসি।

ভালবাসাটা তোমার কাছে ছেলে খেলা হতে পারে
আমার কাছে নয়।
ওটা অনেক ভারী;
হারিয়ে ফেলার সম্ভাবনাই বেশি।

অনেক না পাওয়ার মাঝে
আমি আরেকটা হারানোর কষ্ট
সহ্য করতে পারব না।

এত এত কষ্টের বোঝার মাঝে
আমি আরেকটা কষ্টের বোঝা;
বয়তে পারবনা বলেই-
ভালবাসি শব্দটা শুনলে-
ভয় পায়।
লুকিয়ে রাখি নিজেকে নিজের থেকে।

নারী

নারী তুমি কখনো আমার
জান প্রিয় মা
কখনো আবার -
আদরের বোন।

কখনো আবার হয়ে যাও-
প্রিয়া, প্রিয়তমা অর্ধাঙ্গীনি।
জীবনের হিস্যা নিয়ে -
জুরে থাক তুমি
সুখ দুঃখ আগলে রেখে-
মৃত্যু অবধি।

ভালবাসা, সম্মান, আদর-স্নেহ নিয়ে-
ভাল থাক নারী তুমি,
জীবনের শেষ নিঃশ্বাস অবধি।

ক্লান্ত কাক

কত নিষিদ্ধ পথে হাত বারিয়েছি,
গলিয়েছি নিজের নাক।
সুখ সুখ করে কত পথ ঘুরে
হয়েছি আমি ক্লান্ত কাক।

ছুঁয়ে দেখ

তোমাকে স্বপ্ন দেব
ছুঁয়ে দেখ,
ভালবাসার ঝরনা দেব
তাকেও ছুঁয়ে দেখ,
শুধু আমার থেক তুমি ;
শুধু আমার থেক,
শুধু ভালবেস।

ভালবাসি ( খুঁজে পেলাম )

শীতের এক সকালে-
শিশিরের কোমলতা আর
সূর্যের প্রথম আলোয়
মনটা চনমন করে উঠে।

বাইরে বের হয়ে দেখি-
শুভ্র শাড়ি পড়ে কোমল চেহারার এক মেয়ে
খালি পায়ে-
ঘাসের ডগায় জমে থাকা
হিরার মত টুকরো শিশিরের জলের উপর
অনেক সাবধানে হাটছে।
চুলে গুজে রেখেছে একটা লাউ ফুল
দুধ সাদা হাতে তার কল্মি ফুল।

মনটা আমার শিহরিত হয়ে কুয়াশার মত দোল খায়।
একটু একটু করে সামনে এগিয়ে যায়
মনে হতে থাকে; সে আমার হাজার বছরের চেনা।

তাহলে কি সে-ই আমার......

সামনে এগিয়ে নিঃশব্দে দাড়িয়ে থাকি।
খুব দ্রুত চোখের পলক ফেলতে ফেলতে
আমাকে বলে-
আপনি........
আমি তোমাকে চিনি।
কিন্তু -
ঠিক মনে করতে পারছিনা।
বলতো তোমার সাথে আমার কোথায় দেখা হয়েছিল?

আমার ঠোঁটের কোনায় খুঁজে পাওয়ার আনন্দ।
তাকে বলি-
আমাকে ছুঁয়ে দেখ
তোমার সব মনে পড়বে।

তার দুধ সাদা একটা হাত আমার দিকে এগিয়ে আসতে থাকে
আমাকে স্পর্শ করে
প্রচন্ড অস্থিরতায় কাঁপতে থাকে সে
কাপা কাপা গলায় বলতে থাকে-
এত দিন কোথায় ছিলা!

আর সোজা হয়ে দাড়িয়ে থাকতে পারেনি
জড়িয়ে ধরে- কাঁদো কাঁদো গলায় বলতে থাকে
প্রতিজ্ঞা কর; আর হারাবেনা তুমি।।

ভালবাসি ( খুঁজছি )

পৃথিবীতে আসার আগে
অন্যন সুন্দর এক মূহূর্তে-
সাক্ষাত হয়েছিল;
আমার প্রিয়তমার সাথে।

অনেক ভালবাসা জরানো কন্ঠে বলেছিলাম-
আমার মমতা আর ভালবাসা
সাথে আমার শ্রেষ্ঠ সুখ; রেখ কিন্তু বুকে আগলে,
তোমার বুকের উষ্ণতার মাঝে।

ভূল করে হলেও দিওনা যেন কাউকে
এমনকি-
কেউ হাতও যেন না দেয় তাতে।

পৃথিবীতে আসলাম আজ অনেক দিন হল।
আমি রীতিমত যুবক হয়ে প্রিয়তমাকে খুঁজছি।
কিন্তু-
কি অদ্ভুত! কোথাও নেই সে।
চাপা অস্থিরতায়-
এই মেয়ে ওই মেয়ের দিকে চেয়ে থাকি।

একটা কষ্ট; হারিয়ে ফেলার বেদনা-
শুধু আহবান করে আমায়
তার সাগরে ঝাপ দিতে।
আমার সাহস হয়না।

ভালবাসাটা আমার আমিতে ছড়িয়ে থাকায়
একটা বিশ্বাস বাসা বেধে বড় হতে থাকে-
আমার বিশ্বাস; নিশ্চয় তাকে খুঁজে পাব আমি একদিন।

অসুস্থ নিউরন

আমি আমাকে হারায়ে খুঁজি তোমার ঐ স্নিগ্ধতার মাঝে,
তোমায় খুঁজি দিগন্তের অকৃত্রিম সবুজের মাঝে।

ভালবাসা কি দেখেছ কভু; দুর-আলাপনির মাঝে?
মহা শূন্যের ভিতর হাজারো তরঙ্গের বেড়া জ্বালে!
ঠিক সেখানেই-
আমি আমাকে হারায়ে খুঁজি তোমার দুর-আলাপনির অসীম হতাশার মাঝে।

তার পর........
আজও আমি মহা শূন্যের ভিতর;
হতাশার গতি নিয়ে তোমার চারপাশে ঘুরছি।

কান্নার রঙ

মেঘ কাদঁলে বলি তাকে বৃষ্টি
আমি কাদঁলে বলবে কি?
ভালবাসা আর দুঃখ রঙ এ
আমার পৃথিবী সৃষ্টি।

মেঘের কান্নার জল,
মনে জাগায় সুখানুভূতি।
আর-
আমার কান্নার জল,
আমার আমিতে জাগয়-
ভালবাসার দুঃখ স্মৃতি।

চেতন আর খুন

আমার আমিকে শুনি শুধু-
আমার অবহেলিত অবচেতন।

ভালবাসাহীন কৃষ্টাল জীবন,
মনুষ্যত্বের খোলসে অভিনীত সামাজিক আমি
জীর্ণ শীর্ণ আজ মানবিক প্রাণ।

ঘ্রাণহীন আত্নার টানে; ধরেছে ঘুণ
ক্যান্সারের ভালবাসায় মৃত প্রায় আজ আত্না, আপনা খুন।