গন্ধম

আমি আদমের জাত-
তুমি হাওয়া
নিশিদ্ধ গন্ধমের পথে
হবেনা বন্ধ আমার যাওয়া।

তুমি ত সুবাসিত পথের
গ্রীষ্মের দুপুরে
হীমেল হাওয়া।

আমি আদমের জাত-
তুমি হাওয়া
নিশিদ্ধ গন্ধম
সেতো তোমার আমার মিলনের বাহানা।

অংকুর

ছবিঃ গুগল মামা

আমি জীবনের প্রয়োজনে বারবার নিজের অংকুরোদগমন করাই। অনেকটা কষ্টকর সময় অতিবাহিত করার পর নতুন করে জীবন শুরু করলাম। আর সেইটা হল আমার নতুন প্রবাস জীবন। যা আমার ঝামেলা যুক্ত জীবনের অনেক সমস্যাই সমাধান করে দিচ্ছে।
অনেক ধন্যবাদ এবং শুকরিয়া মহান শ্রষ্টার প্রতি।
এক শ্রষ্টা সাথে থাকলেই আর কিছুই প্রয়োজন নেই।
যে সব দেয় সে যদি নিজের হয় তবে আর কিসের চিন্তা............

সূর্যের প্রথম আলো দেখার আশায়। ভালবাসা আমার এবং আমার আশাপাশের সকল অংকুরোদগমন করানোর যুদ্ধে শামিল যুদ্ধাদের।


তারিখঃ ০২/১৭/২০২৩ইং

নারী

ছবিঃ গুগল মামা থেকে নেওয়া।

আমার বিদ্ধস্ত আপন পরমাত্মা-নারী আত্মার সন্ধানে
আমি ভিগল বাজিয়ে প্রতিটা নিঃশ্বাস ফেলি-প্যারেড করার আদলে।
বিদ্ধস্ত আমির প্রতিটা নিঃশ্বাস ফেলাটাও যেন একটা আর্টে রুপ নেয়,
এই রুপেই যেন তার রুপ আটকায়।

একটা নারীর মনে খুশি দিতে-ঠোঁটে হাঁসির ঝিলিক আনতে-
কত কি লাগে- গাল পলিশ, ঠোট পলিশ, স্নো, পাউডার, গয়না শাড়ি
আরো না জানি কত কি!!!
পুরুষ দেখ এক নারীতেই খুশি।
সব কিছুর সাথে জীবনটাও তার নারীতেই আটকায়।

আটকে যাওয়া জীবনের প্রতিটা পর্ব এলোমেলো হয়ে যায়
বাবা-মা, ভাই বোন আত্বীয়-স্বজন সবার সাথে তৈরি হয় অঘোষিত দূরত্ত্ব
জীবন থেকে কমে যায় ঘুম; কমে যায় সুখ। হারায় প্রশান্তি।
ক্রমেই নিজের ভিতর তৈরি হয় নিজের একাকিত্ত্ব-
হয়ে যাই একেবারেই একা-এক নারীর কারণে।

এই রুপ যৌবনের খেলায় পুরুষের আটকে যায় সমস্ত জীবন
তারপরও-
তার বিদ্ধস্ত আপন পরমাত্মা-তবু থাকে নারী আত্মার সন্ধানে
ভিগল বাজিয়ে প্রতিটা নিঃশ্বাস ফেলে-প্যারেড করার আদলে-
যদি কোন নারী পসরা সাজিয়ে রাংগিয়ে তোলে আপনা রজনী…

চিঠি - অন্ততত ব্বিশ ঘন্টার জন্য বউ হবা??

ছবিঃ গুগল থেকে



প্রিয়,
উম্মে কুলসুম কেমন আছ তুমি। জানি না তোমার জীবনের কত শত বাক আর কত টেনশন নিয়ে কেমন চলছে তোমার দিন। তার পরও আশা করি ভালই আছে।
যাই হোক, তোমাকে লিখা এই ছোট্ট চিঠিতে মূল কথাটা সরাসরি বলেই ফেলি। হুম, তোমার আমার পিছনে ফেলে আশা হাজারো স্মৃতি যা ছিল কিছু কষ্টের আবার কিছু ছিল খুবই মধুময়। জানি না তোমার কতটুকু মনে আছে। বা আজো তোমার মনে আমার জন্য কতটুকু জায়গায় আমি রয়েছি। তবে আমার মন জুড়ে তুমিই আছে বেশ। তাই ত তুমিহীনা আমি মাঝে মাঝে মৃত্যুময় হয়ে উঠি। পেতে চায় মন। তোমাকে পেতে চাই নিজের করে। কুলসুম তোমাকে অনেক বার বলেছি। কিন্তু তুমি অনেক অযুহাত দেখিয়ে পাশ কেটে গেছ। প্রতিবারই বলেছে এখন যে অবস্থা তাতে তুমি আমার জীবনে একেবারে চলে আসাটা অনেক বড় সমস্যা হয়ে দাঁড়াবে তোমার জন্য। এই এক কথা বলার পর আমি আর কোন কথা কোমাকে বলিনি।

আজ একটা কথা বলতে চাই।
কুলসুম সারা জীবন না হয় অন্তত চব্বিশটা ঘন্টার জন্য হলেও আমার বউ হবে??? এই চব্বিশটা ঘন্টার স্মৃতি নিয়ে বাকী জীবনটা হাশি মুখে পাড়ি দিয়ে দিব।

প্লিজ প্লিজ ..... আমার বেঁচে থাকার জন্য এই রশদটুকু দাও.....

অবশেষে তোমার ভালবাসাময় প্রতিউত্তরের আশায় তোমারই আমি।

ইতি
ফেনা

তুমি হীনা অর্থহীন জীবন

ছবিঃ কাজী ফাতেমা ছবির পোষ্ট থেকে।

এই শুন-
কাজী ফাতেমা ছবি,
ফুরিয়ে যাওয়া জীবনজুড়ে-
তোমার এত ইচ্ছে কেন লুটোপুটি করে!!!
ভাল লাগে না আর-
ঝুটঝামেলার জীবনে তুমি ইচ্ছেদের দাও ছুটি এবার।
টোপা পানার মত জলে ভেসে
মাথায় পড়তে চাও বৃষ্টির টোপর;
হ্যাঁ, পড়- কিন্তু একা কেন!!!
আমি তোমাকে এতটাই ভালবাসি-
মাঝে মাঝে তুমি হীনা নিজেকে অর্থহীন লাগে।
আর সেই আমি কে তোমার সাথে নিতে চাও না!!!
এই শরীরের ভিতর মন নামক একটা কিছু বসবাস করে-
সেই মনে প্রচন্ড ব্যাথা অনুভব হল।

আমি প্রতিদিনই তোমার খেয়ালে কাটায়
আজ কাল করে অপেক্ষায় থাকি তোমার
শত ব্যবস্ততার মাঝে হয়তো কখনো ফিরে দেখবে আমায়
কিন্তু-
আমার অপেক্ষার অবশান হয় না
অবসাদ আর ক্লান্তি আমাকে চেপে ধরে-
এক সময় দিন ফুরিয়ে রাত হয়;
তোমাকে স্বপ্নে নিয়ে-বালিশে মাথা গুজিঁ আরেকটা দিনের অপেক্ষায়।

তুমি তো ভোরের শিউলীর ঘ্রাণ নিতে চাও নাকে,
কিন্তু আমি শিশির ভেজা সকালে
তোমার খোপায় চালতা ফুল গুজা দেখতে চাই।
একটা বকুল ফুলের মালা হাতে ব্রেস্লেটের মত রেখে দিবে।
শিশির ভেজা দূর্বা ঘাসে পা রেখে
আমার হাতে হাত রেখে সামনের দিকে পদ চিহ্ন একে যাবে।
আমি শুধু মুগ্ধতা মাখা চোখে তোমার চোখের দিকে চেয়ে থাকব-অপলক।
(৩০-০৮-২০২২)

একজন আব্দুস সাত্তার খান এবং আমাদের চন্দ্রাভিযান

জন্মঃ ১৯৪১, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা, বাংলাদেশ

মৃত্যুঃ ৩১ জানুয়ারি ২০০৮ (বয়স ৬৬–৬৭) ফ্লোরিডা, যুক্তরাষ্ট্র

জাতীয়তাঃ বাংলাদেশী
মাতৃশিক্ষায়তনঃ কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া কলেজ
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়

পরিচিতির কারণঃ মহাকাশ গবেষণা
বৈজ্ঞানিক কর্মজীবন
প্রতিষ্ঠানসমূহঃ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
ফ্লোরিডা স্টেট ইউনিভার্সিটি

আব্দুস সাত্তার খান (১৯৪১ - ৩১শে জানুয়ারি, ২০০৮) বাংলাদেশের একজন বিখ্যাত মহাকাশ গবেষক। কর্মজীবনে তিনি নাসা, ইউনাইটেড টেকনোলজিসের প্র্যাট এন্ড হুইটনি এবং অ্যালস্টমে (সুইজারল্যান্ড) কাজ করেছেন।

শৈশব এবং শিক্ষাজীবন:
আব্দুস সাত্তার ১৯৪১ ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলায় নবীনগর উপজেলার খাগাতুয়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি রতনপুর উচ্চ বিদ্যালয় এবং কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া কলেজে পড়াশোনা করেন। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে রসায়ন বিভাগ থেকে ১৯৬২ সালে স্নাতক (সম্মান) এবং ১৯৬৩ সালে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন। এরপর তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে রসায়ন বিভাগে প্রভাষক হিসেবে যোগ দেন। তিনি ১৯৬৪ সালে অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে ডক্টরেট করতে যান এবং ১৯৬৮ সালে রসায়নের উপর ডক্টরেট ডিগ্রি অর্জন করেন। এরপর তিনি দেশে ফিরে এসে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে রসায়ন বিভাগে সহযোগী অধ্যাপক হিসেবে যোগদান করেন। ঐ বছরই তিনি ধাতব প্রকৌশল নিয়ে গবেষণা করার জন্য যুক্তরাষ্ট্র গমন করেন।

কর্মজীবন:
তিনি নাসা ইউনাইটেড টেকনোলজিস এবং অ্যালস্টমে কাজ করার সময়ে ৪০টিরও বেশি সংকর ধাতু উদ্ভাবন করেছেন। এই সংকর ধাতুগুলো ইঞ্জিনকে আরো হালকা করেছে, যার ফলে উড়োজাহাজের পক্ষে আরো দ্রুত উড্ডয়ন সম্ভব হয়েছে এবং ট্রেনকে আরো গতিশীল করেছে। তার উদ্ভাবিত সংকর ধাতুগুলো এফ-১৬ ও এফ-১৭ যুদ্ধবিমানের জ্বালানি সাশ্রয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে। তিনি ফ্লোরিডা স্টেট ইউনিভার্সিটির যন্ত্রকৌশল বিভাগের অধ্যাপক হিসেবে কাজ করেছেন।

পুরস্কার ও অর্জন:
আব্দুস সাত্তারের গবেষণা এবং মহাকাশে তার প্রয়োগের জন্য তিনি নাসা, আমেরিকান বিমানবাহিনী, ইউনাইটেড টেকনোলজি এবং অ্যালস্টম থেকে অসংখ্য পুরস্কার লাভ করেন। তিনি ব্রিটেনের রয়েল সোসাইটি অব কেমিস্ট্রির একজন পেশাদার রসায়নবিদ এবং নির্বাচিত ফেলো। তিনি স্বীকৃতি হিসেবে ২০০৫ সালে যুক্তরাজ্য থেকে পেশাজীবী বিজ্ঞানী হিসেবে রয়েল সোসাইটি অব কেমিস্ট্রি এবং এর আগে ১৯৯৬ সালে যুক্তরাজ্যের রয়েল সোসাইটি অব কেমিস্ট্রি থেকে ফেলো নির্বাচিত হন। যুক্তরাষ্ট্রের সোসাইটি অব মেটালসেরও সদস্য তিনি। ১৯৮৬ সালে যুক্তরাষ্ট্রের যুদ্ধবিমান এফ-১৫ ও এফ-১৬-এর ইঞ্জিনের জ্বালানি খরচ কমানোয় বিশেষ অবদান রাখার জন্য পান ইউনাইটেড টেকনোলজিস স্পেশাল অ্যাওয়ার্ড। ১৯৯৪ সালে পান উচ্চগতিসম্পন্ন জেট বিমানের ইঞ্জিন ও ক্ষেপণাস্ত্র তৈরিতে অবদানের জন্য ‘ইউনাইটেড টেকনোলজিস রিসার্চ সেন্টার অ্যাওয়ার্ড অব এক্সিলেন্স’ পদক।
১৯৯৩ সালে পান ‘প্রাট অ্যান্ড হুইটনি’র বিশেষ অ্যাওয়ার্ড। পেশাদার বিজ্ঞানী থেকে অবসর নেওয়ার পরও তাঁর বিজ্ঞানের সেবা থেমে থাকেনি।


এই সময়ে আবদুস সাত্তার ফ্লোরিডা স্টেট ইউনিভার্সিটিতে যন্ত্র প্রকৌশল বিভাগের গবেষক ও ষাণ্মাসিক অধ্যাপক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। এখানে কাজ করার সময় কার্বন ন্যানো টেকনোলজি-সম্পর্কিত বস্তুগত বিজ্ঞান ও জৈব রাসায়নিক প্রযুক্তির প্রয়োগের ওপর একটি গবেষণা প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠা করেন। এ জন্যই তাঁর নাম বিশেষভাবে উচ্চারিত হয় এই বিশ্ববিদ্যালয়ে।

সামাজিক ক্ষেত্রে অবদান:
আবদুস সাত্তার খান যুক্তরাষ্ট্রে বিভিন্ন ধরনের সেবামূলক কাজের সঙ্গেও যুক্ত ছিলেন। তিনি ফ্লোরিডায় বাংলাদেশি সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা এবং এশিয়ানদের স্থানীয় সংগঠক হিসেবে কাজ করেছেন। ১৯৯১ সালে বাংলাদেশের প্রলয়ংকরী বন্যার সময় তিনি রেডক্রসের মাধ্যমে ৬১ হাজার ডলার বাংলাদেশে পাঠান। তিনি টেক্সাসের লামার বিশ্ববিদ্যালয় ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে একটি যোগসূত্র স্থাপন করে দিয়েছেন, যার কারণে লামার বিশ্ববিদ্যালয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতকোত্তর শিক্ষার্থীরা বিশেষ সুবিধা পেয়ে থাকেন।

প্যাটেন্ট:
তিনি ৩১টি প্যাটেন্টের অধিকারী।
1. Khan, Abdus S, Nazmy, Mohamed,’ MCrAlY bond coating and method of depositing said bond coating’, US patent No. 20050003227 (January 6, 2005) 2. Khan, Abdus S, Fried, Reinhard, ‘ Thermally loaded component of a gas turbine comprises heat insulating ceramic layer used for gas turbine blades’ DE10332938 (February 10, 2005)
3. Khan, Abdus S, Nazmy, Mohamed, ‘ Method of applying a thermal barrier coating system to a superalloy substrate’, W02005038074 (April 28, 2005)
4. Allen, William P, Vernoesi, William, Hall, Robert J, Maloney, Michael J., Appleby, John W, Hague, Douglas D. and Khan, Abdus S. ’Reflective coatings to reduce heat transfer’, US patent No 6,887,587 (May 3, 2005)


5. Khan, Abdus S, Fernihough John, Konter, Maxim, ‘Method of repairing a ceramic coating’, US patent No. 6,890,587 (May 10, 2005)
6. Khan, Abdus S., Konter, Maxim, Schmees, Robert, ‘ Bond or overlay MCrAlY coating’, US patent No. 6,924,045 (August 2, 2005)
7. Fried, Reinhard, Goecmen, Alkan, Khan, Abdus.S, ’ Temperature-stable protective coating over a metallic substrate surface, and a process for producing the protective coating’, US patent No. 6,720,087 (April 13, 2004)
8. Duda, Thomas, Jung, Arnd, Khan, Abdus S, ‘Method of depositing MCrAlY coating on an article and the coated article’, European patent No. EP1411148 (April 21, 2004)
9. Khan, Abdus S., Bossmann, Hans-Peter, Duda, Thomas, Schnell, Alexander, Stefansson, Karl-Johan, Toennes, Christoph T, ‘Method of depositing an oxidation and fatigue resistant MCrAlY coating’, US patent No. 20040079648 (April 29, 2004)
10. Khan, Abdus S., Duda, Thomas, ‘Method of depositing a local coating’, US patent No.20040159552 (August 19, 2004)
11. Khan, Abdus S, Duda, Thomas, Hoebel, Mathias, Schnell, Alexander, ’A method of depositing a local coating’, US patent No. 20040163583 (August 24, 2004)


12. Khan, Abdus S, Boston, Ian W and Hearley, James. A,’ Method of depositing a wear resistant seal coating and seal system’, US patent No.20040185294 (Sept. 23, 2004)
13. Schnell, Alexander, Kurz, Wilfred, Hoebel, Mathias, Khan, Abdus S., Konter, Maxim Bezencon, Cyrille, ‘MCrAlY type alloy coating’, European patent US patent No.20040234808 (November 25, 2004)
14. Schnell, Alexander, Hoebel, Mathias, Kurz, Wilfred, Khan, Abdus S., Konter, Maxim, Bezencon, Cyrille, ‘Method of growing a MCrAlY coating and an article coated with the MCrAlY coating’, US patent No.20040244676 (December 9, 2004)
15. Khan, Abdus S., Fried, Reinhard, ‘Method of applying a coating system’, European patent No. EP1491658 (December 29, 2004)
16. Khan, Abdus S, Fried, Reinhard, ‘Method of applying a coating’, European patent No. EP 1491657 (December 29, 2004)
17. Khan, Abdus S, Duda, Thomas, Schnell, Alexander, Jung, Arnd, ‘A method of depositing a coating’, European patent No. EP 1491650 (December 29, 2004)
18. 18) Fernihough, John, Khan, Abdus S., Konter, Maxim, Oehl, Markus, Dorn, Joachim-Hans, 'Process of repairing a coated component’, US patent No. 6,569,492 (May 27, 2003)
19. Beers, Russell A, Noetzel, Allan A, Khan, Abdus S., ‘Oxidation and fatigue resistant coating’, US patent No. 20030211356 (November 3, 2003)


20. Allen, William P, Vernoesi, William, Hall, Robert J, Maloney, Michael J., Appleby, John W, Hague, Douglas D. and Khan, Abdus S. ’Reflective coatings to reduce heat transfer’, US patent No. 6,652,987 (November 25, 2003)
21. Khan, Abdus S., Zagorski, Alexander, Savell A, Katsnelson, Savell, S, Pozdniakov, Georgij A, 'Method for treating the bond coating of a component’ European patent No. EP1215301 (June 19, 2002)
22. Beers, Russell A, Khan, Abdus S, Noetzel, Allan A, ‘Oxidation resistant coatings for copper’, US Patent No 6,277,499 (August 21, 2001)
23. Mullen, Richard S, Allen, William P, Gell, Maurice L, Barkalow, Richard H., Noetzel, Allan A., Appleby, John W, Khan, Abdus S. 'Multiple nanolayer coating system’, US Patent No. 5,687,679 (November 18, 1997)
24. Khan, Abdus S, Murphy, Kenneth S, Fenton, Richard J, ‘Method for improving oxidation and spallation resistance of diffusion aluminide coatings’, W09530779 (November 16, 1995)
25. Khan, Abdus S., 'Non-destructive test for coated carbon-carbon composite articles’, US Patent No. 5,317,901 (June 7, 1994)
26. Khan, Abdus S, Wright, Robert J.’ A method for protecting article from hydrogen absorption by Application of alumina coating’, US Patent No. 5,252,362 (October 12, 1993)
27. Senterfitt, Donald R, Hamner, Larry D., Mullaly, James. R, Khan, Abdus S, Smeggil, John. G, 'Leading edge heat Pipe arrangement’, US Patent No. 4,966,229 (October 30, 1990)
28. Gostic, William J, Khan, Abdus S, Murphy, Kenneth S, 'Oxidation resistant single crystals’ US Patent No. 4,878,965 (November 7, 1989)
29. Hecht, Ralph J, Khan, Abdus S, Barkalow, Richard H, 'Substrate tailored coatings’, US Patent No. 4,758,480 (July 19, 1988)
30. Bourdeo, Girad G, Khan, Abdus S,’ Nickel base superalloy’ British patent No. GB02110240 & FR-2517329 (June 3, 1983)
31. Barrett, Charles A, Lowell, Carl E, Khan, Abdus S, 'A ternary NiCrAl system’, US Patent No. 4,340,425 (July 20, 1982)

অবদান:
১৯৯১ সালে বাংলাদেশের বন্যাদুর্গতদের জন্য ৬১,০০০ মার্কিন ডলার সংগ্রহ করেন এবং রেডক্রসকে দান করেন। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও টেক্সাসের লামার বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে সহযোগিতা চুক্তি প্রতিষ্ঠা করেন।

তথ্যসূত্র:
1. ↑ The Daily Star: Dr Abdus Suttar Khan
2. ↑ "MCrAlY bond coating and method of depositing said MCrAlY bond coating"। সংগ্রহের তারিখ ২৩ আগস্ট ২০১৬।
3. ↑ "Abdus Suttar Khan Inventions, Patents and Patent Applications - Justia Patents Search"। সংগ্রহের তারিখ ২৩ আগস্ট ২০১৬।
4. ↑ Team, LandOfFree Web Development। "Abdus Suttar Khan is an Inventor in Stock material or miscellaneous articles, All metal or with adjacent metals, Composite; i.e., plural, adjacent, spatially distinct metal.... Check for reviews on LandOfFree.com"। সংগ্রহের তারিখ ২৩ আগস্ট ২০১৬।
5. ↑ Click This Link

বহিঃসংযোগ:
Click This Link List of Patentees 4th September, 2007
• Click This Link
• Click This Link
• Click This Link


সুত্রঃ bn.wikipedia.org

আমি মিসির আলী ২

ছবিঃ গুগল মামা থেকে নেওয়া।

আজ দিনটা বুধবার। সন্ধ্যার আজান (মাগরিবের আজান) হয়ে গেল। কেউ ঘরে ফিরছে আবার কেউ রাস্তার পাশে ছোট ছোট দোকানগুলিতে ভির জমাচ্ছে। এখানে বসে চা -সিগারেট আর দেশ, খেলা আর দেশের রাজনীতি নিয়ে সে রকম আলোচনা চলবে। মাঝে মাঝে আলোচনা শুনলে মনে হয় তাদের থেকে প্রধান্মন্ত্রী শেখ হাসিনাও কম বুঝে। হাসিনার বুদ্ধিজীবি হিসাবে তাদের নিলে হাসিনার ঠগ হবে না।

আমিও ঘর থেকে বের হয়ে একটা দোকানের দিকে যাচ্ছি। ভাবছি কয়েকটা সিগারেট নিয়ে রাস্তার ধারে বাশ ঝারের নিচে গিয়ে বসব। ঘরে আজ সারা দিন একটা কথা শুনতে শুনতে কান একেবারেই শেষ। জিন ভুত বাশ ঝাড়ে থাকে বেশি। আজ দেখব তাদের, সাথে একটু গল্প করব সিগারেট খেতে খেতে। অবশ্য তাদেরও সিগারেট অফার করা যাতে পারে।


দোকানে একটা এক হাজার টাকার নোট দিলাম। দোকানদার আমার দিকে হা করে চেয়ে রইল। গ্রামের দোকান। এখানে এত বড় নোট খুব কমই আসে। টাকাটা বাড়িয়ে দিয়ে বললাম, আমাকে এক প্যাকেট বেনসন সিগারেট দেন। দোকানদার আমার দিকে বেশ কয়েক সেকেন্ড তাকিয়ে থেকে এক প্যাকেট বেনসন সাথে ভাংতি দিতে দিতে জিজ্ঞাসা করল ভাইজান আপনি কি করেন? আমি কথাটা স্পষ্টই শুনেছি। কিন্তু না শুনার মত করে চলে এলাম। সময়টা শীতের শুরু। কিন্তু সেই সন্ধ্যা থেকে আমার জিছুটা গরম লাগছে। অদ্ভুত গরম। কিছুটা গা জ্বলছে।

প্রায় দশ কি বার মিনিট পর সেই বাশ ঝাড়ের নিচে এসে বসলাম। সিগারেট একে একে সাতটা জ্বালিয়ে দিলাম। সাথে মোবাইলে একটা পিডিএফ বই পড়ে শেষ করলাম। ঘড়িতে চেয়ে দেখি সময় গড়িয়ে রাত প্রায় ১১ টা বাজে। এবার উঠতে হবে। নিজেকে নিজেই বলে মোবাইলটা পকেটে নিয়ে উঠে দাঁড়ালাম। সেই সাথে পকেটে রাখলাম সিগারেট আর লাইটারটাও। বাড়ির দিকে নিরবে হাটা দিলাম।

ঘরের দরজার সামনে আসার পর মনে হল - এত সময় বাশ ঝাড়ের নিচে বসে আসলাম কিছু দেখলাম না!!! কেউ ত আসলনা!!! কিছুইত হল না আমার!!!
যাই হোক ঘরে ঢুকে হাত মুখ ধুয়ে খেতে বসলাম। এমনি এক চাচী এলেন ঘরে। বউ এর সাথে বেশ কিছুক্ষণ কি যেন কথা বলে তারপর আমার সামনে এসে দাঁড়ালেন। অনেকটা কাচু মাচু করে বললেন- কাহা একটা কথা কমু??? আমি এক ঝলক চাচীর দিকে তাকিয়ে -বলেন। চাচী মাথাটা নিচু করে বলতে লাগলেন- কাহা তোমার চাচারে কালকে একবার ডাক্তারের কাছে নিয়ে যাব। যদি দশ হাজার টাকা ধার দিতা........ বলতে বলতে গলার আওয়াজটা কেমন শেষে এসে মলিন হয়ে গেল।


আমি খাওয়াটা বন্ধ করে বাকি ভাতের উপর হাত ধুয়ে উঠে চাচীর শাড়ির আচল দিয়েই মুখটা মুছে নিলাম। উনি আমার চাচাত চাচার চাচাত ভাই এর বউ। বয়স ত্রিশ বা বত্রিশ হবে। চাচার বয়সটাও তেমন নয়, আটচল্লিশ থেকে পঞ্চাশ এমনি হবে।

যাই হোক আমি মুখটা মুছে চাচীকে বললাম এই বেটা ত আর বাঁচত না। যখন তখন মরে যাবে। হের পিছনে টাকা নষ্ট করে লাভ কি!!! ঋণ বাড়ায়ে লাভ নাই। আপনি দেখতে শুনতে মাশাল্লাহ খুবই ভাল। নিজের আরেকটা বিয়ের চিন্তা করেন। ছেলে পুলা নাই। বয়স কম। এইভাবে আর কত দিন চলতে পারবেন।
এই বলেই আমি অদ্ভুত ভাবে হাসতে হাসতে সিগারেটের প্যাকেট হাতে নিয়ে ঘর থেকে বের হয়ে গেলাম।

পরের দিন খুবই ভোরে ঘুম থেকে উঠে শহরে চলে গেলাম। আমার এক ফুপু অসুস্থ। তাকে দেখতে। সকাল সাড়ে সাতটা নাগাদ ফুপুর বাসায় পৌছালাম। তার ঠিক পনের মিনিট পরই বউ মোবাইলে কল দিল। কলটা রিসিভ করতেই- এই তুমি আসলে কি বলত!!! জলদি বাড়িতে আস। কেন কি হয়ছে। তুমি যদি জানই যে তালিব কাহা মারা যাবে তবে তুমি আজ বাড়ি থেকে গেলা কেন। বিকালে বা পরের দিনই যেতে পারতা..... তালিব কাকা সকাল পাঁচটার সময় মারা গেছে। তুমি জলদি বাড়ি আস।

বাড়িতে আসলাম। আসতে আসতে প্রায় বারটাই বেজে গেল। গোসল করে লাশ নিয়ে কবরে দিকে রওয়ানা দিলাম জানাজার জন্য। দাফনের কাজ শেষ করে বাড়িতে আসলাম। খাওয়া দাওয়া সেরে গেলাম তালিব কাহার ঘরে। মরা বাড়িতে যেমন অদ্ভুত থমথমে পরিবেশ আর থেকে থেকে কান্না কাটি চলে এখনেও তার ব্যাতিক্রম নয়। আমি ঘরে ঢুকতেই চাচী কানতে কানতে আমাকে এসে জরায়ে ধরে আরো জোরে চিল্লানি দিয়ে কাঁদতেছে। আমার কান ফাটার অবস্থা।

আমাকে জড়ায়ে ধরে কান্নার সময় তার মুখটা আমার কান বরাবর। তাই কানে কান্নার আওয়াজটাও বেশ লাগছে। হঠাত কান্না কিছুটা বন্ধ হয়ে চাচী আমার কানে অনেকটা ফিস ফিস করে বললেন- তুমি কেমনে জানলা আমার জামাই মইরা জাইব!!! তুমি সাধারণ কেউ না। এখন তুমি ছাড়া আমার কেউ নাই, কোন উপায় নাই। আমি তোমার পিছু ছাড়ব না। মরার আগ মুহুর্ত পর্যন্ত আমি তোমাকে পিছু করব।

আমি মিসির আলী

ছবিঃ গুগল মামা দিয়েছে।

আমই আজকাল অনেকটাই মিসির আলি হয়ে গেছি। আমার কাছে প্রায়ই মনে হয়ে আমার নিজের মাঝে কিছু পরিবর্তন বা অতি প্রাকৃতিক বিষয় তৈরি হচ্ছে তা হুমায়ুন আহমেদের সেই মিসির আলি থেকে কম কিছু নয়। বরং মাঝে মাঝে আমার কাছে সেই মিসির আলি থেকেও অনেক বেশি মনে হয়।

একবার আমি আমাদের গ্রামের বাডিতে গেলাম। অনেক দিন পর আসাতে নিজের মাঝেই বেশ অনেক আনন্দবোধ করছিলাম। কিছুটা সময় রেষ্ট নিয়ে ঘর থেকে বের হলাম। বাড়ির চারপাসাটা ঘুড়ে দেখছি। আমাদের বাড়ির দক্ষিন উত্তর কোনার দিকে একটা ছোট আম গাছ আছে। যা অনেক বেশি ছোট গাছ। কিছু মজার বিষয় হল এই গাছটাতেই বেশ অনেক আম ধরে আছে। কাচা পাকা আম জিভে জল আশার মত।



যাই হোক বিকালে দাদা বাজার থেকে আসলেন। দাদাকে দেখে আমি একটু এগিয়ে গেলাম। সামনে গিয়ে দাদাকে বললাম দাদা অই গাছ থেকে কয়েকটা আম পেড়ে খাই। কিন্তু দাদা কিছু টা রাগ দেখিয়ে বললেন না না এই গাছের আম খাওয়া যাবে না। পাকলে আমি এই আম্রে বীজ করব। এই কথা শুনে মনটাই খারাপ হয়ে গেল। আমি পরক্ষণেই বললাম যা, দাদা খেলে এই আম আজই খান। নাহলে আফসোস থেকে যাবে। এই আমের মেয়েদ আজ মাঝ রাত পর্যন্তই। যাই হোক দাদা আমার কথায় পাত্তা দিলেন না। ভেবেছিলাম কিছুটা ভয় পেয়ে এক দুইটা আম বুঝি পেড়ে দিবেন। গুলি কাজ করল না।

আমি দাদার সাথে ঘুরাঘুরি করতে লাগলাম। রাতে খেয়ে আমি আজ দাদার সাথেই ঘুমাতে গেলাম। লম্বা একটা জার্নি করার কারণে রাতে আর ঘুম ভাংগেনি। এক ঘুমেই রাত কাবার। কিন্তু সকালে কিছুটা হৈচৈ শুনে ঘুম থেকে উঠলাম। জানালা দিয়ে বাহিরে উকি দিতেই দেখি বেশ কয়েকজন মানুষের জটলা। ঘটনা কি!!! বিছানা থেকে উঠে বাহিরে বেরিয়ে এলাম। বারান্দায় দাদা মন খারাপ করে বসে আছে। কি হয়ছে জিজ্ঞাসা করতেই ছোট চাচী কইল- ছোট চারা গাছটার আম সব আম রাতে চোরে লইয়া গেছে গা। এমনি দাদা বলতে লাগল যে আমার নাতিটা আমিডি খাইতে চাইছিল। আমি দিছি না। হে আমারে একবার কইছিলও যে আমডি থাকত না। খাইলে খাও না হলে আফসোস থাকব। আমি হের কথা হুনছি না।
তার বেশ কিছু দিন পর আম্বার আমরা পরিবারের সবাই বাড়ি গেলাম। বাড়িতে দেন দরবার। দাদা তার ছেলে মেয়েদের সয়-সম্পদ ভাগ করে দিচ্ছেন। যে দিন গেলাম তার পরের দিন দরবার বসল। অনেকটা থম থমে পরিবেশ। আমি কিছুটা দূরে দাড়িয়ে সব দেখছি আর শুনছি। সারা সকাল গেল দুপুর হল। বেশির ভাগ সম্পদ ভাগ শেষ। এখন চলছে দুপুরের খাওয়া পর্ব। আমি তাদের সাথে খেতে বসলাম। খেতে খেতে এক মুরুব্বী আমাকে জিজ্ঞাসা করলেন যে নাতি কি বুঝলা…… খুশি হয়তাছনি? আমি উত্তরে বললাম যে আসলে দাদা এই পর্যন্ত যা হলে তাতে আমার কোন ইন্টারেষ্ট নেই। আমার আগ্রহ হল দাদার যে ঐ গরুটা, ঐটা কাকে দিবে?? সেইটাই এখকন দেখার বিষয়। তা নাতি তোমার মতে কাকে দেওয়া উচিৎ বলে মনে হয়?? আসলে দাদা আমার মনে বলেন বা ইচ্ছা বলে তা হল এই গরুটা ছোট কাকাকে দেওয়া উচিৎ।


আর কোন কথা না বলে আমি উঠে গেলাম। হাত ধুয়ে বাহিরে ঘুড়ছি। অপেক্ষায় আছি আবার কখন দরবার শুরু হবে।

সবাই নামাজ থেকে এসে আবার বসেছে। একে একে সব শেষ। এবার গরুর কথা উঠতেই মেঝ চাচা বলে উঠলেন যে গরুটা যেন তাকে দেওয়া হয়। দাদা আর তাতে দ্বী-মত করলেন না। দিয়ে দিলেন। এই বিষয়ে কেউই কিছু কইল না। হঠাত আমি বলে উঠলাম। দাদা এইটা ঠিক হচ্ছে না। গরু ছোটকাকাকে দেওয়া উচিৎ। না হলে গরুও মাস তিনেকের মাঝেই মারা যাব। পরে কিন্তু আফসোস কইরেন না।
কিন্তু কেউওই আমার কথা কর্ণপাত করল না। সব শেষ। যার যার মত চলে গেল।

আমরা সবাই আরো দুই তিন দিন গ্রামের বাড়িতে বেড়ালাম। তারপর যথারীতি চলে গেলাম ঠিকানায় যে খানে বাবা চাকুরী করেন।

দিন যায় মাস যায় এই ভাবে প্রায় তিন মাস তিন দিন হয়ে গেল। এমনি এক দুপুরে অফিস থেকে এসে বাবা দুপুরের খাবার খেতে বসলেন মাত্র। বাবার মোবাইল ফোন বেজে উঠল। বাবা হ্যালো বলতেই ঐ পাশ থেকে মেঝ কাকা বলতে লাগলেন- বাইছা আব্বা যে গরুটা আমারে দিল ওইডা আজকা ভোর রাইতে মইরা গেছে। গরুডা আমার হইছে না।
আর তেমন কিছু না বলে হঠাত করেই ফোনটা কেটে দিল।


দীর্ঘ বছর দুই পর হঠাত একদিন-
দাদা আমাদের বাসায় আসলেন। থাকবেন বেশ কয়েক দিন। তেমনি এক বিকাল বেলায় দাদা আমাকে ডাকলেন। তার মনটা মনে হল কিছুটা বিষণ্য। কাছে গিয়ে জিজ্ঞাসা করলাম- দাদা কি হয়ছে? মন খারাপ কেন? দাদা বললেন মন খারাপ না। কিছুটা চিন্তা করতেছি। তোর সাথে পরামর্শ করি। তুই ত আমার দরবেশ শাহ্। যা কর তা সত্যি হয়ে যায়। বলেই হাসলেন।

ঠিক তখন থেকেই আমি নিজের মাঝে আলাদা কিছু অনুভব করতে লাগলাম। আসলেই কি আমি মিসির আলীর মত হয়ে যাচ্ছি। আমি আমাতে আমিত্ত্ব খুজেঁ পাচ্ছি!!!!

গাড়ি ( বড়দের শিশু গল্প)

রমজান ভাই এক প্যকেট প্রটেকশন কাভার দাও। রমজান ভাই কিছুটা ভ্রু-কুচকে তাকালেন। কিরে সুমন তুই প্রটেকশন কাভার দিয়ে কি করবি?? সুমনের চেহারায় বিন্দুমাত্র প্রতিক্রিয়া নেই। বরং একজন
উপকারীর তৃপ্ত চেহারা নিয়ে- আসলে ভাই আমার বাড়ির পাশে মুটামুটি পুরাতন একটা গাড়ি পড়ে আছে অনেক দিন থেকে। ভাবলাম আমি যদি এইটার একটু যত্ন নেই। মাঝে মাঝে চালায় তাহলে
গাড়িটা ভাল থাকবে।
আমার ত সু-মনে কোন কাদা নেই। অন্যের উপকার করাই আমার স্বভাব। অন্য কারো কষ্ট বা মন খারাপ আমার ভাল লাগে না।
যাইহোক রমজান ভাই তারাতারি দাও। সময় নষ্ট করে লাভ নাই। ভাবছি আজ থেকেই গাড়িটা চালানো শুরু করব।
গাড়িটা কিছু পুরাতন হলে কি হবে জবরদস্ত।

** আমি তসলিমা নাসরিনের প্রেমে পড়েছি।**

ছবিঃ তসলিমা নাসরিন (গুগুল মামা দিয়েছে)


অমিত প্রতিভার অধিকারী রুদ্র মুহাম্মদ শহীদুল্লাহ-র বউ আরেক প্রতিভা তসলিমা নাসরিন। এই বিষয়টা আলাদা করে বলার দরকার হয় না।
হুম আমি আসলে এখানে তসলিমা নাসরিনকে নিয়েই একটা কথা বলব। সবাই তাকে নেগেটিভ দৃষ্টিতে দেখে থাকে। বিশেষ করে বাংলাদেশিরা। কিন্তু আমি তাঁর বেশ কিছু বই পড়েছি। তেমন জটিল কিছু পাইনি। হ্যাঁ ব্যক্তি আক্রমন করে কথা বলার একটা প্রবণতা আছে তাঁর মাঝে। তবে সে কিন্তু সাহিত্যে প্রতিভাধর। এইটা কিন্তু মানতেই হবে। আর একটা কথা এই দেশে দুষ্ট সাহিত্যিকের অভাব নাই। তোষামোদকারী লেখকেরও অভাব নাই। তসলিমা যে ভাবে কথা বলে তাঁর থেকেও খারাপ ভাবে কথা বলে এমন লেখকও আমার মনে হয় যথেষ্ট আছে।


যাইহোক- আসলে আমি তাঁর কিছু লেখা পড়ে বেশ মুগ্ধ হয়েছি। বিশেষ করে তাঁর লেখনীতে। তাঁর লেখার নিজস্ব একটা ঢং আছে। যা সব লেখকের থাকে না।
সব মিলিয়ে তাঁর খারাপ-ভাল সবই এখন আমার ভাল লাগতে শুরু করেছে। কথায় আছে যাকে ভাল লাগে তাঁর সবই ভাল লাগে।

মোট কথা ** আমি তসলিমা নাসরিনের প্রেমে পড়েছি।**

তসলিমা নাসরিন এর সম্পর্কে অজানা কিছু জানতে চাই। যাদের জানা আছে আশা করি জানাবেন।

প্রাণের বিনিময়ে প্রাণ

তুমি আমি খুনি
খুনের রক্তে উল্লাস করি।
উল্লাস করি-
মৃত্যু পথ যাত্রী প্রাণের; দুনিয়া বিদারী চিৎকারে।

চিৎকার শুধু মৃত্যুর নয়-
চিৎকার শুনি,
সম্ভ্রম হারানো নারীর দেহ-মনের
চিৎকার শুনি-
ফুলের মত শিশুর যৌন নির্যাতনের করুন আর্তনাদের।

চিৎকার শুনি- দেশ মায়ের
প্রতি মুহুর্তে ধর্ষণের পর মৃত্যুর।

আমি তুমি খুনি-
কোন প্রাণ খুন কর না তুমি!!!
প্রতি মুহুর্তেই প্রাণ বিনাশের রক্তে আনন্দ।
এত বিভৎস রক্তের খেলায় বেঁচে থাকে মানুষ,
বেঁচে থাকে প্রাণের বিনিময়ে প্রাণ।

নিপা আমি তোমাকে এখনও ভালবাসি

নিজের থেকে একটু বেশী ভালবাস আমায়-জানি
পাছে কেউ কিছু বলে- চেপে রাখ সব নিজের বুকে।

আমি কিছু চেপে রাখতে পারিনি
মিথ্যে আশাও দিতে পারিনি
তোমায় ভালবেসে গেছি এক মনে।

মা বাবার উর্ধে যেতে পারিনি বলে-
কেলেংকারি ঘটাতে পারিনি।

এই জন্য বুঝি আজো একা একা কষ্ট পাই
খরার মত এখনও শুষ্ক হয়ে যায় বুক
নদী জল পাশে ছল ছল-
ওপারে আমি শুষ্ক মরুভূমি।

ভাল আছ তুমি
লতা গাছের মত প্রকৃতির অংশ হবে তুমি-কিন্তু
বাঁচার জন্য হাপিত্তাস করি আমি
সিরধারায় রক্ত বয়ে চলে-কিন্তু বেঁচে থেকেও মৃত আমি।