লৌহিত সাগর পাড়ে আমি......

অনেক দিন পর মনে হল একটা পোষ্ট দেই। কি পোষ্ট দিব এইটা ভাবতে ভাবতেই প্রায় এক সপ্তাহ পার করলাম। আজ হঠাত করেই মাথাই এল আমি ত গত ঈদুল ফিতরের ছুটিতে সৌদী আর মিশরের মাঝে সেই ঐতিহাসিক লৌহিত সাগর দেখতে গেছিলাম। তাহলে ত সব প্রিয় মানুষগুলির সাথে এই ভ্রমণের ছবি কিছু শেয়ার করতে পারি। তাই ----


রুম থেকে বের হয়ে যাত্রা করলাম, হাক্কল বীচ, তাবুক, সৌদি আরব। (এইটা লৌহিত সাগরের একটা বিচ, যার সাথে রয়েছে মিশর এর বর্ডার, জর্ডানের বর্ডার।


তাবুক, সৌদী আরব থেকে হাক্কল বীচ যাওয়ার পথে, কঙ্কাল শরীর নিয়ে দাড়িয়ে থাকা এক নির্জীব পাহাড়।


দীর্ঘ ভ্রমণের পর হাক্কল শহরে প্রবেশের পথে।

শহরের ভিতরে।


অবশেষে সাগর পাড়ে আমরা।


কিছু সুন্দর মুহুর্ত একা একা সাগরের জিল গেষে বসে থাকা.।.।.।.। এক দৃষ্টিতে বহু বছর বইয়ে পড়ে আসা সেই ঐতিহাসিক সাগর পাড়ের সৌন্দর্য্যের মাঝে নিজ্জেকে হারিয়ে খোঁজা। অবশেষে ফিরে চলা। (অফিসে বসে বস্কে ফাকি দিয়ে পোষ্ট পরা যে কত কষ্টের যে করে সে বুঝ। হা হা হা হা)

গন্ধম

আমি আদমের জাত-
তুমি হাওয়া
নিশিদ্ধ গন্ধমের পথে
হবেনা বন্ধ আমার যাওয়া।

তুমি ত সুবাসিত পথের
গ্রীষ্মের দুপুরে
হীমেল হাওয়া।

আমি আদমের জাত-
তুমি হাওয়া
নিশিদ্ধ গন্ধম
সেতো তোমার আমার মিলনের বাহানা।

অংকুর

ছবিঃ গুগল মামা

আমি জীবনের প্রয়োজনে বারবার নিজের অংকুরোদগমন করাই। অনেকটা কষ্টকর সময় অতিবাহিত করার পর নতুন করে জীবন শুরু করলাম। আর সেইটা হল আমার নতুন প্রবাস জীবন। যা আমার ঝামেলা যুক্ত জীবনের অনেক সমস্যাই সমাধান করে দিচ্ছে।
অনেক ধন্যবাদ এবং শুকরিয়া মহান শ্রষ্টার প্রতি।
এক শ্রষ্টা সাথে থাকলেই আর কিছুই প্রয়োজন নেই।
যে সব দেয় সে যদি নিজের হয় তবে আর কিসের চিন্তা............

সূর্যের প্রথম আলো দেখার আশায়। ভালবাসা আমার এবং আমার আশাপাশের সকল অংকুরোদগমন করানোর যুদ্ধে শামিল যুদ্ধাদের।


তারিখঃ ০২/১৭/২০২৩ইং

নারী

ছবিঃ গুগল মামা থেকে নেওয়া।

আমার বিদ্ধস্ত আপন পরমাত্মা-নারী আত্মার সন্ধানে
আমি ভিগল বাজিয়ে প্রতিটা নিঃশ্বাস ফেলি-প্যারেড করার আদলে।
বিদ্ধস্ত আমির প্রতিটা নিঃশ্বাস ফেলাটাও যেন একটা আর্টে রুপ নেয়,
এই রুপেই যেন তার রুপ আটকায়।

একটা নারীর মনে খুশি দিতে-ঠোঁটে হাঁসির ঝিলিক আনতে-
কত কি লাগে- গাল পলিশ, ঠোট পলিশ, স্নো, পাউডার, গয়না শাড়ি
আরো না জানি কত কি!!!
পুরুষ দেখ এক নারীতেই খুশি।
সব কিছুর সাথে জীবনটাও তার নারীতেই আটকায়।

আটকে যাওয়া জীবনের প্রতিটা পর্ব এলোমেলো হয়ে যায়
বাবা-মা, ভাই বোন আত্বীয়-স্বজন সবার সাথে তৈরি হয় অঘোষিত দূরত্ত্ব
জীবন থেকে কমে যায় ঘুম; কমে যায় সুখ। হারায় প্রশান্তি।
ক্রমেই নিজের ভিতর তৈরি হয় নিজের একাকিত্ত্ব-
হয়ে যাই একেবারেই একা-এক নারীর কারণে।

এই রুপ যৌবনের খেলায় পুরুষের আটকে যায় সমস্ত জীবন
তারপরও-
তার বিদ্ধস্ত আপন পরমাত্মা-তবু থাকে নারী আত্মার সন্ধানে
ভিগল বাজিয়ে প্রতিটা নিঃশ্বাস ফেলে-প্যারেড করার আদলে-
যদি কোন নারী পসরা সাজিয়ে রাংগিয়ে তোলে আপনা রজনী…

চিঠি - অন্ততত ব্বিশ ঘন্টার জন্য বউ হবা??

ছবিঃ গুগল থেকে



প্রিয়,
উম্মে কুলসুম কেমন আছ তুমি। জানি না তোমার জীবনের কত শত বাক আর কত টেনশন নিয়ে কেমন চলছে তোমার দিন। তার পরও আশা করি ভালই আছে।
যাই হোক, তোমাকে লিখা এই ছোট্ট চিঠিতে মূল কথাটা সরাসরি বলেই ফেলি। হুম, তোমার আমার পিছনে ফেলে আশা হাজারো স্মৃতি যা ছিল কিছু কষ্টের আবার কিছু ছিল খুবই মধুময়। জানি না তোমার কতটুকু মনে আছে। বা আজো তোমার মনে আমার জন্য কতটুকু জায়গায় আমি রয়েছি। তবে আমার মন জুড়ে তুমিই আছে বেশ। তাই ত তুমিহীনা আমি মাঝে মাঝে মৃত্যুময় হয়ে উঠি। পেতে চায় মন। তোমাকে পেতে চাই নিজের করে। কুলসুম তোমাকে অনেক বার বলেছি। কিন্তু তুমি অনেক অযুহাত দেখিয়ে পাশ কেটে গেছ। প্রতিবারই বলেছে এখন যে অবস্থা তাতে তুমি আমার জীবনে একেবারে চলে আসাটা অনেক বড় সমস্যা হয়ে দাঁড়াবে তোমার জন্য। এই এক কথা বলার পর আমি আর কোন কথা কোমাকে বলিনি।

আজ একটা কথা বলতে চাই।
কুলসুম সারা জীবন না হয় অন্তত চব্বিশটা ঘন্টার জন্য হলেও আমার বউ হবে??? এই চব্বিশটা ঘন্টার স্মৃতি নিয়ে বাকী জীবনটা হাশি মুখে পাড়ি দিয়ে দিব।

প্লিজ প্লিজ ..... আমার বেঁচে থাকার জন্য এই রশদটুকু দাও.....

অবশেষে তোমার ভালবাসাময় প্রতিউত্তরের আশায় তোমারই আমি।

ইতি
ফেনা